শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেছে দক্ষিণ এশীয় সড়ক যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক চার লেন প্রকল্পের মহাসড়ক। ফলে, সাড়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কথা না বললেও, কাজ বুঝে নেয়ার আগে সব ঠিক করে নেয়ার কথা বলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
দক্ষিণ এশীয় সড়ক যোগাযোগ ও উত্তর, দক্ষিণবঙ্গসহ ২১ জেলার যানবাহন চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। দুই বছরের মেয়াদে ২ হাজার ৭৮৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই মহাসড়কের জয়দেবপুর-এলেঙ্গা চার লেন উন্নতিকরণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। ২০১৮ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই দফায় প্রকল্প ব্যয় ও সময় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৯৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যা প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়বে ৫৮ কোটি টাকার বেশি। আর, কাজ শেষের সময় ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাস।
প্রকল্পের কাজ শেষ হবার আগেই চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিমি এলাকার বিভিন্ন অংশ দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশে নতুন করে মেরামত করা হলেও সেখানেও প্রকল্পের মান নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। বৃহৎ প্রকল্পের এমন নিম্নমানের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের গাফলতিকে দায়ী করছেন চালকরা। ডিয়েনকো লিমিটেড, আবদুল মোমেন লিমিটেড ও মীর আখতার নামের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চার লেনের কাজ বাস্তবায়ন করছে। তবে, এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালকের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
প্রকৌশলীরা বলছেন, পিচের জন্য পাথর-বিটুমিনের যে মিশ্রণ তৈরি করা হয়, সেটি ঠিকমতো না হলে রাটিং বা সড়ক দেবে যেতে পারে। আবার, নকশা দুর্বলতা, দুর্বল নির্মাণ কাজ যানবাহনের ওভারলোডের কারণেও এমনটা হতে পারে। তবে, কাজ বুঝে নেয়ার আগে সব ঠিক করে নেয়ার কথা বলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।একই সমস্যায় পড়েছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও। এ কারণে, উদ্বোধনের এক বছরের মাথায় সড়কটিতে হাজার কোটি টাকার বেশি সংস্কারকাজের প্রয়োজন পড়ে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।