শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক রিপোর্ট : ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজার আদেশের অনুলিপি না পেয়ে এক ব্যক্তির করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন র্যাবের আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। নিজের কাজের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতার কথা আদালতকে জানানের পর এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক সহযোগিতা (লজিস্টিক সাপোর্ট) দিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।আদালতে সারওয়ার আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও অমিত তালুকদার।
আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ বলেন: আদালতের তলবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম হাইকোর্টে এসেছিলেন। আদালত তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে সাজার আদেশের অনুলিপি দিতে কেন দেরি হয়েছিল। তখন এজন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়।
শুনানির এক পর্যায়ে সারওয়ার আলম আদালতকে বলেন, বছরে চারশ থেকে ছয়শ মামলা করি। তাছাড়া ঢাকার বাইরে সাজা দিলে বা মামলা করলে এই সমস্যাগুলো হয়। কারণ আদেশের নকল আমি দেই না, আদেশের নকল দেন এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট)। তাই উনার কাছে ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তখন হাইকোর্ট সারওয়ার আলমকে বলেন, `আপনার একার পক্ষে এতকিছু করা আসলেই অসম্ভব। ঠিক আছে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে দিচ্ছি যেন আপনাকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হয়।’
আজ শুনানির শুরুতেই রিটের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানান তারা ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের দেওয়া আদেশের অনুলিপি এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন। এরপর আদালত রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয়।’
এর আগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস ও পশু খাদ্য আইনে গত ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
এরপর মিজান মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।এই সাজার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন জানিয়ে গত ২১ জুলাই আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেন।
কিন্তু সাজার পর চার মাস পার হয়ে গেলেও সে আদেশের অনুলিপি পাননি। ফলে আপিলও করতে পারছিলেন না মিজান মিয়া।পরে আদেশের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের পর গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি সারওয়ার আলমকে তলব করেন।